মাচায় গ্রীষ্মের তরমুজ চাষ
|
![]() এদিকে রমজান মাসের শুরুতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বাজারে চুয়াডাঙ্গার তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় তরমুজ পাঠিয়েছেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন। আরও অনেক কৃষক ১৫ রোজার মধ্যে তরমুজ ঢাকায় এবং স্থানীয় বাজারে পাঠাতে শুরু করবে। এসব কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবেন বলেও আশা করছেন। ![]() সাধারণত আমাদের দেশে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে তরমুজের চাষ হয়। এখন আর সে তরমুজ বাজারে নেই। তবে জাপান থেকে আমদানি করা বীজে চুয়াডাঙ্গার মাটিতে উৎপাদিত তরমুজ বেশ লাভজনক বলে এবার প্রমান হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে তিন বিঘা জমিতে প্রথম এই তরমুজের চাষ করেন গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ। তার সফলতা দেখে পরের বছর এই তরমুজ চাষ করেন গাড়াবাড়িয়া গ্রামের রতন আলী, লুৎফর রহমান, আজমত আলী, আব্দুস সাত্তার, সুবদিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ও আজিজুল হকসহ আরও অনেকে। কৃষকরা জানান, এই তরমুজ চাষে বিঘা প্রতি লাভ হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। জেলায় জাপানের ব্ল্যাক বেবি, তাইওয়ানের জেসমিন ১ ও ২ জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সারিবদ্ধ ভাবে তরমুজের বীজ লাগাতে হয়। এটি আবাদে মালসিং পেপারের দরকার হয়। বাঁশ দিয়ে নেট করে মাচা তৈরি করে দেয়া হয়। অধিক ফল ধরলেও প্রতিটি গাছে দুইটি করে ফল রাখলে ভালো। এতে ফল অনেক সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও পরিপুষ্ট হয়। পরিপুষ্ট একটি তরমুজ ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। এ তরমুজের সেরাটা চলে যায় ঢাকার কারওয়ান বাজারে। বাকিগুলো বিক্রি হয় চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ![]() চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার তাইওয়ানের জেসমিন-১, জেসমিন-২ ও জাপানের ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজের আবাদ সবচেয়ে বেশি। এবার কোনো পোকামাকড়ের আক্রমণ ছিল না। তাই দামও অনেক বেশি পাচ্ছে কৃষকরা। |