বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বরেই
আইপোর্ট নিউজ:
|
![]() ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে র্যাঙ্কিং নিয়ে চিন্তিত ছিল বাংলাদেশ। তবে ক্যারিবিয়ানদের পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ করতে না পারায় শঙ্কামুক্ত হয় টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নাটকীয়ভাবে হেরে যায় পাকিস্তান। এরপর টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ এ পকেটে পুরে সরফরাজ আহমেদের দল। মঙ্গলবার রাতে ৬ উইকেটের বড় জয় দিয়ে সিরিজ জিতলেও র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরেই রইলো পাকিস্তান। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ১০ দলকে নিয়ে বিশ্বকাপের আসর বসবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ডেটলাইনের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। বাছাইপর্বের মাধ্যমে অপর দুটি দল নির্ধারিত হবে। সে কারণেই র্যাঙ্কিং এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯২। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে পাকিস্তানেরও ৯২ পয়েন্ট হতো। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে টপকে সাত নম্বরে ওঠে যেত ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের মাটিতে সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতায় আপাতত চিন্তামুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই সিরিজ থেকে ১ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছে পাকিস্তান। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান দুইয়ে নেমে এসেছে। আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দল নিউজিল্যান্ড ও ১২ নম্বরের দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। র্যাঙ্কিংয়ের ওঠা-নামার ক্ষেত্রে টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ারল্যান্ড নিচের সারির দল হওয়ায় তাদের বিপক্ষে জিতলে কোনো পয়েন্ট পাবে না বাংলাদেশ। তবে আইরিশদের কাছে হেরে গেলেই পয়েন্ট কমবে মাশরাফিদের। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ জিতলে ৪ পয়েন্ট বাড়বে টাইগারদের। একটি ম্যাচ জিতলেও পাবে দুই পয়েন্ট। কিন্তু দুটি ম্যাচই হেরে গেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট কমে দাঁড়াবে ৯০-এ। সুতরাং, ১২ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। |